বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষী পুজো এক পুরাতন রীতি, দূর্গা পুজো হতে না হতে আপামোর বাঙালির মনে উৎসব শুরু হয়ে যায় লক্ষী পুজোকে কেন্দ্র করে। বাড়ির সবাই মিলে লক্ষী পুজোর নানারকম প্রসাদ সাজাই আমারা সকলে। তার মধ্যে বিশেষ কিছু ভোগ প্রসাদ আছে, এই লক্ষী পুজোর প্রাক্কালে এই নিয়ে একটু আলোচনা করা হলো।
লক্ষীপূজোর নানান রীতি

কথায় বলে পেঁচা উড়তে থাকে আকাশে লক্ষ্মীপুজোর রাতে। যে গৃহস্থ সাড়া দেয়, তাঁর ঘরে দেবীকে আসার জন্য খবর পাঠায় প্যাঁচা। তখন বাহনের পিঠে চেপে মা এসে ঢোকেন ঘরে। এটা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বহু পৌরাণিক ব্যখ্যার মধ্যে একটি। যাঁর সম্পত্তি নেই, তিনি তা পাওয়ার আশায় জেগে থাকেন। আর যাঁর রয়েছে, তিনি তা না হারানোর আশায় নাকি জেগে থাকেন। বাঙালি বাড়িতে এই একটা পুজো সাধারণত হয়েই থাকে। ঘরভর্তি আলপনা। কোথাও মূর্তি, কোথাও বা ঘটে পুজো আবার কোথাও কলাবউকে মা লক্ষী রূপে পূজো করা হয়। এসবের মধ্যে সব থেকে সাধারণ বিষয় হল- এক এক বাড়িতে এক এক রকম ভোগ দেওয়া হয় মা লক্ষ্মীকে। নাড়ু বা খিচুড়ি খাবার লোভে এ বাড়ি, ও বাড়ি ঘোরাটাও কমন প্র্যাকটিস। যে মেয়েটিকে ভাল লাগে, কিন্তু বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ, এই পুজোর দিনে তার বাড়িতেও ভোগ প্রসাদ খেতে চলে যাওয়া যায় অনায়াসে।
জোড়া ইলিশ দেওয়া হয় মা লক্ষীর ভোগে

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো মানেই কোনও কোনও বাঙাল বাড়িতে জোড়া ইলিশে মা লক্ষ্মীর আরাধনা৷ ভোগের খিচুড়ি, লাবড়ার সঙ্গে দেওয়া হয় ইলিশ মাছও। একজোড়া ইলিশ ভোগ দেওয়া হয় মা লক্ষ্মীকে৷ কখনও আলু, বেগুন দিয়ে রান্না হয় ইলিশ। কখনও বা কুমড়ো দিয়ে রান্না করা হয় ইলিশের ঝোল৷ আর অবশ্যই মাকে সেজে দেওয়া হয় এক খিলি পান।
লক্ষী পুজোর দিন খিচুড়ি ভোগের প্রচলন সর্বত্র

লক্ষ্মীপুজোর দিন খিচুড়ি ভোগ বহু বাড়িতে হয়। আলু, ফুলকপি, টোম্যাটো, কড়াইশুঁটি দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়। এখন সারা বছরই সব রকমের সবজি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বলা হয়, মাকে ভোগে নতুন সবজি দিয়ে তারপর তা খাওয়া শুরু করবে সকলে। সে কারণেই কড়াইশুঁটি বা ফুলকপির মতো শীতের সবজি দিয়ে রান্না হয় ভোগ। আসলে খিচুড়ি ভোগ পাতে না পড়লে বাঙালির পেটপুজো যেন সম্পন্ন হয় না! এর সঙ্গেই থাকে লাবড়া। সব রকম সবজি দিয়ে তৈরি একটি তরকারি। অনেকেই হয়তো স্বীকার করবেন, লাবড়ার স্বাদ যিনি না পেয়েছেন, তিনি বড় আনন্দ মিস করেছেন জীবনে। কোনও কোনও বাড়িতে লাবড়ার সঙ্গে আলুরদমের আয়োজন হয়। পাঁচ রকমের ভাজা, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি ছাড়াও পাঁচ রকম ফল থাকে ভোগে।
নাড়ু, মুড়কি ছাড়া লক্ষীপুজো অসমাপ্ত

কোনও কোনও বাড়িতে অন্ন ভোগ দেওয়া হয় না। সেখানে নাড়ু, মুড়কি থাকাটা মাস্ট! বাড়িতেই তৈরি হয় চিনি এবং গুড়ের পাক দেওয়া নাড়ু। লুচি, সুজি দিয়েও দেওয়া হয় ভোগ। সব মিলিয়ে ভোগের প্রসাদ মারফত পেটপুজোয় কোনওরকম ফাঁকি রাখেন না বঙ্গবাসী।
Spark.Live এ রয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ানরা
পূজোর মরশুম চলছে, তার মধ্যে খাওয়াদাওয়া অনেকেরই অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে ফলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই Spark.Live এ আপনাদের সকলের জন্যে রয়েছেন বিশেষ সব ডায়েটিশিয়ানরা। বর্তমানে দেশের নিজস্ব অ্যাপের মধ্যে Spark.Live অন্যতম। একাধিক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদরা যুক্ত হয়েছেন Spark.Live এ, এবং তারা অনলাইন কন্সালটেশনের সুযোগ রাখছেন আপনাদের সকলের জন্যই। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কেন্দ্রীভূত করে আপনাদের ডায়েটের যেকোনো ধরণের সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে দিচ্ছেন আমাদের ডায়েটিশিয়ানরা দক্ষতার সঙ্গে এবং সব থেকে সুবিধে হল নিজের বাড়িতে বসেই স্বল্প মূল্য ব্যায় করে আপনারা নিজেদের ডায়েট চার্টটি পেয়ে যাবেন।
তাই আর দেরি না করে, আজই নিজের সেশন বুক করুন এই লিংকটিতে ক্লিক করে-
