ডায়েট শব্দটি শুনলেই মনে হয় রোগা হওয়া বা মোটা হওয়া, কিন্তু আমরা অনেকেই এটা জানিনা যে সঠিক ডায়েট সুস্বাস্থের জন্য একান্ত জরুরি এক বিষয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ্য স্বাভাবিক রাখতে গেলে উপযুক্ত ডায়েটে থাকা আবশ্যক এবং ডায়েট সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে প্রয়োজন একজন সুদক্ষ ডায়েটিশিয়ানের সাহায্য, সেইকারণে Spark.Live এর বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ান কোয়েল পাল চৌধুরী ডায়েটের কিছু মূল্যবান প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যার ফলে আপনাদের কৌতূহলের অবহান ঘটবে।
১) ডায়েট নিয়ে মানুষদের সচেতন কিভাবে করা যেতে পারে?

উত্তর- ফুড মানে হল খাবার আর সেই খাবার আমাদের বেঁচে থাকার উৎস, সেটা আমরা সকলেই সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি। কিন্তু সেই খাদ্য হল বিজ্ঞেন। সেই বিজ্ঞেন আমাদের প্রতিদিন কাজে লাগলেও বড্ডো অবজ্ঞা করে ফেলি আমরা, পুষ্টি সকলেরই প্রয়োজন কিন্তু তার পরিমান সকলের ক্ষেত্রেই একেবারে আলাদা রকমের হয়ে থাকে। বাড়ির খাবারেই সবরকম পুষ্টি পাওয়া যায়, কিন্তু তা একটু বৈজ্ঞানিকভাবে বুঝে ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাই ডায়েট নিয়ে সকলকে সচেতন থাকতেই হবে, তাহলেই আমরা অনেক রোগ ব্যাধির হাত থেকেও রেহাই পেতে পারবো।
২) ওজন বাড়ানোর জন্য কি ধরণের ডায়েট করা যেতে পারে?

উত্তর- ওজন বাড়ানোর থেকেও বেশি মাথায় রাখা উচিত আপনি সুস্থ্য আছেন কিনা, অনেক সময়ই শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি থাকেনা আমাদের এবং সেই কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্বলতা অনুভব হয়, ব্লাড প্রেসার কমে যায়। সেই কারণে সবার আগে সুস্থ্য থাকা প্রয়োজন, কিন্তু এটাও ঠিক অনেকেরই প্রশ্ন ওজন বাড়বে কিকরে, আমি যদি খাবারের পোরশন সাইস মানে প্রতিটা খাবারের পরিমান বাড়াই তবেই ক্যালোরি বাড়বে। সেখানে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকবে। বিশেষ করে দুধ,পনির, দই, ডিম্ এছাড়াও কলা, বাদাম, কাজু, কিসমিস,বাতাসা,আলু সেদ্ধ ইত্যাদির ব্যবহারে অনেক রকম ভাবেই ওয়েট গেইন করা সম্ভব। তবে তাও তার শরীরের গঠন অনুযায়ী নির্ভর করে কতটা ওজন বাড়ানো যাবে।
৩) শিশুদের কি ধরণের ডায়েটে রাখা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?

উত্তর- শিশুদের ডায়েট মানে সেটা নরম ব্লেন্ড খিচুড়ির মতো কিছু হতে হবে তা কিন্তু একদমই নয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে সব রকমের খাবার যা পরিবারের বাকিরা খায় সেগুলো খাওয়াতে হবে। তাহলে তার সেই খাবারগুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে, সে চিবিয়ে খেতেও শিখবে, তার হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে। অনেক শিশু দুধ খেতে চায়না সেই ক্ষেত্রে তাকে পনির, চিজ, দই, ছানার সন্দেশ এগুলো দেওয়া যেতে পারে। সবজি না খেতে চাইলে ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ, ভিজিটেবল চাউমিন, ভিজিটেবল রোল এসব বাড়িতেই বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। খাবার এমন একটা পদ্ধতি যা পরিবারের সাথে শিশুর বন্ধন সুদৃঢ় করে।
৪) ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবার কটার মধ্যে সেরে ফেলা উচিত?

উত্তর- রাতের খাবারের পরিমান সব সময় একটু কম করা প্রয়োজন আর অবশ্যই তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সেরে ফেলা উচিত। আদর্শভাবে রাত ১০ টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া ভালো, তারপর কিছুক্ষুণ গ্যাপ রেখে শুতে যাওয়া উচিত। ভালো ঘুম না হলে হজমশক্তি কমে যায় তেমনই ওজনও বেড়ে যায়। শরীরে স্ট্রেসের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাই খাবার পরে বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করে তারপর মিনিট পাঁচেক ধ্যান বা মেডিটেশন করলে ঘুম খুব ভালো হয় এবং খাবার তাড়াতাড়ি হজমও হয়ে যায়। আর ঘুমের আগে অবশ্যই ইলেকট্রনিক যেকোনো গ্যাজেট সরিয়ে রাখা উচিত।
আরও করুন-PCOS- এর জন্য উপযুক্ত ডায়েটগুলি কি কি? (What are the diets suitable for PCOS?)
Spark.Live এ রয়েছেন স্বনামধন্য ডায়েটিশিয়ান তথা ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্ট কোয়েল পাল চৌধুরী
শ্রীমতি কোয়েল পাল চৌধুরী একজন স্বনামধন্য ডায়েটিশান, ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্ট , কমিউনিটি নিউট্রিশনিস্ট , ডায়াবেটিস এডুকেটর এবং সঙ্গে একজন সমাজ সেবী। যিনি শুধু ওয়েইট গেইন বা ওয়েইট লসের বাইরেও পুষ্টিশিক্ষার বিস্তার নিয়ে কাজ করেন, গ্রামে গ্রামে পুষ্টিবিদ্যার প্রচার থেকে শুরু করে হসপিটালে এবং ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট এ রোগীদের টিউব ফিডিং নিয়েও কাজ করে চলেছেন। তার মূল ইচ্ছে হলো সমাজকে সুস্থ ও সুন্দর করে তোলা সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে। সম্পূর্ণ বাড়িরই তৈরী সাধারণ খাবার গুলোর মধ্যে থেকেই তিনি তৈরী করে দেন উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান , যার সাহায্যে বহু মানুষ উপকৃত হয়ে চলেছেন।
Spark.Live এ ডায়েটিশিয়ান কোয়েল পাল চৌধুরীর সঙ্গে অনলাইন কন্সালটেশনের জন্যে লিংকটিতে ক্লিক করুন-https://spark.live/consult/nutrition-tips-from-koyel-pal-chowdhury-to-make-your-diet-healthier
