চা বা কফির নেশা থাকলে মেটাবলিক রেট কমে ওজন বাড়ে বলেই আমরা সকলে জানি, তার সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ হলে তো আর কথাই নেই। তবে বর্তমানে মেদ কমানোর দাওয়াই হিসেবে কফিকে চিহ্নিত করছেন বেশ কয়েকজন পুষ্টিবিদেরা। কফির সঙ্গে কিছু আনুষাঙ্গিক খাবারের সংযোগে অতিরিক্ত মেদ ঝরবে ম্যাজিকের মতো। শুধু মনে রাখতে হবে এই ডায়েটে দিনে অন্তত তিন কাপ কফি খেতে হবে, এবং অবশ্যই চিনি, দুধ, ক্রিম ছাড়া।
বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার জন্য নিত্য নতুন ডায়েট চার্ট মেনে চলি আমরা অনেকেই। সেরকমই এক ডায়েট রেজিম হল কফি ডায়েট। জেনে নেওয়া যাক কফি ডায়েট আসলে ঠিক কী-
কফি ডায়েট আসলে কী?

এই ডায়েট মেনে চলতে গেলে সারা দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি খেতে হবে। বিশেষজ্ঞেরা বলেছেন- কফি আমাদের বিপাকের হার বাড়িয়ে ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। বেশি কফি খেলে খিদেও কমে যায়। তবে অবশ্যই মাত্রা রাখতে হবে, না হলে খিদে ঘুম কমে যাওয়া থেকে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, রক্তচাপ বাড়ার সমস্যা আসতে পারে৷ হাড় ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে, গ্রাস করতে পারে মানসিক অবসাদ৷। অতএব কফি খান, তবে মাত্রা ছাড়িয়ে নয়৷ সঙ্গে মেনে চলুন ডায়েটের অন্য নিয়মগুলি।
কফি ডায়েটের কার্যকারিতা
মনে রাখতে হবে এই ডায়েটে দিনে অন্তত তিন কাপ কফি খেতে হবে, এবং অবশ্যই চিনি, দুধ, ক্রিম ছাড়া। এই ডায়েট করলে সঙ্গে লো ক্যালোরি যুক্ত এবং হাই ফাইবার খাবার খেতে হবে। যেমন শাক সবজি, ফল, শস্য জাতীয় খাবার।
কফি ডায়েটের উপকারিতা-
এই কফি ডায়েটে দুটো বড় লাভ হয়। প্রথমত, এতে খিদে কমে যায় ভীষণভাবে। দ্বিতীয়ত, এটি দেহে মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বাড়ায়। আর খিদে কমে গেলে শরীরের ক্যালোরি গ্রহণ ক্ষমতা কমে যায়। খাবার খাওয়ার আগে এক কাপ কফি খেয়ে নিলে খিদে কমে যায় এবং সে ক্ষেত্রে বেকফি ডায়েট আসলে কীশি খাওয়া যায় না।
কফির সঙ্গে রাখতে পারেন কিছু বিশেষ খাবার

- সকাল, দুপুরে বা রাতে খান গ্রিন স্মুদি৷ এক কাপ জল, ১-৪ টেবিল চামচ চিয়া সিড, আধ কাপ ফ্যাটহীন গ্রিক ইয়োগার্ট, আধ কাপ টাটকা বা ঠান্ডায় জমানো ব্লু বেরি, আধ কাপ ফুটি, অর্ধেক কলা, আধ কাপ পালং, টাটকা মধু, সব মিশিয়ে মিক্সিতে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্মুদি।
- দিনে দু থেকে তিন বার টুকটাক কিছু খান৷ যেমন, একটা ফুটির চার ভাগের এক ভাগ, আধ কাপ পনির, এক মুঠো অ্যামন্ড। একটু বেশি খিদে পেলে এক পিস হোল হুইট ব্রেডের উপর দু’–টেবিল চামচ স্ম্যাসড বেরি, এক চামচ পিনাট বাটার ও এক চামচ টাটকা মধু লাগিয়ে খেতে পারেন। বড় একটি লেটুসের মাঝে সামান্য চিকেনের পুর ও স্বল্প পরিমাণ অ্যাভোক্যাডো কুচনো কাসুন্দি দিয়ে জাড়িয়ে বানানো রোলও পেট ভর্তি রাখবে অনেক ক্ষণ৷
কিছু ঝুঁকির আশঙ্কাও রয়েছে
কফি ডায়েটের বেশ কিছু ঝুঁকিও রয়েছে, কারণ ক্যাফেইনের নানা সাইডেফেক্ট রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, ঘুম কমে যাওয়া অর্থাৎ ইনসমনিয়া, মাথা ব্যথা হওয়া এর মধ্যে অন্যতম। তাই দীর্ঘদিন ধরে এই ডায়েট মেনে চলা শরীরের পক্ষে একটু ক্ষতিকারক রূপ নিতে পারে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, যে কোনো ডায়েট অনুসরণ করার আগে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি।
ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান তনিমা ঘোষ
তনিমা ঘোষ একজন বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এবং সার্টিফায়েড ডায়াবেটিক এডুকেটর। ফুড এন্ড নিউট্রিশন নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন, ওজনের যাবতীয় সমস্যা তিনি খুব সহজেই সমাধান করতে সক্ষম। সেটা হতে পারে ওজন কমানো কিংবা ওজন বাড়ানো, নানারকম থেরাপিউটিক ডায়েট তৈরী করে মানুষকে সুস্থতার দিশা দেখিয়ে চলেছেন তিনি। বিভিন্ন অসুখের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্রস্তুত করে সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সকলকে। এনিমিয়া, হাইপার টেনশন, হার্টের জন্য সঠিক ডায়েট, কিডনিকে ভালো রাখার জন্য উপযুক্ত ডায়েট এবং অবশ্যই ডায়াবেটিস রুগীদের জন্য নানান সঠিক ডায়েট প্রস্তুত করে চলেছেন তিনি।
Spark.Live এ রয়েছেন বিশিষ্ট ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান তনিমা ঘোষ, আপনারা আপনাদের ডায়েটের যেকোনো রকম কৌতূহলের অবসান করে ফেলতে পারবেন এবার থেকে নিজের বাড়িতে বসেই, স্বল্প মূল্য ব্যায় করে ডায়েটিশিয়ান তনিমার সঙ্গে অনলাইন কন্সালটেশনের মাধ্যমেই –https://spark.live/consult/weight-loss-diet-with-tanima-ghosh-bangla