অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার শরীরকে সুস্থ্য রাখার পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যায় নানাভাবে কাজে আসে এই উপাদানটি। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল এই বিশেষ ধরনের ভিনিগারটির আসলে কিন্তু সম্পূর্ণ অ্যাসিডিক, তাই ভুলেও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার সরাসরি খাওয়া বা ত্বকে লাগানো উচিত নয়, বরং পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে তারপর অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করতে হবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের নানান পুষ্টিগুণ
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজও। এত সব উপকারী উপাদান এক সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানারকমের উপকার হয় স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতা

আমাদের শরীরকে সচল রাখতে যে সব মিনারেল এবং উপকারী অ্যাসিডের প্রয়োজন পড়ে, তার অধিকাংশই মজুত রয়েছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে। তাই নিয়ম করে এই পানীয় খেলে নানা উপকার পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে ছোট বড় একাধিক রোগের কবলে পড়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই কমে যায়।
১| বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
অতিরিক্ত ওজনের কারণে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা আজ থেকেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন, উপকার মিলতে সময় লাগবে না। আসলে এই ভিনিগারটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, যে কারণে বারে বারে মুখ চালানোর ইচ্ছা আর থাকে না। ফলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রবেশ করার সম্ভবনাও কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে খুব সহজেই। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করা শুরু করলে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে, যে কারণেও মেদ ঝরে যায়। আর ওজন কমতে শুরু করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগের ভয়ও থাকেনা। এমনকী, হার্টের রোগ থেকেও দূরে দূরে থাকা যায়।
২| রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপকারিতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এই ভিনিগারটি কীভাবে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তাই ভাবছেন? বেশ কিছু রিসার্চের পরে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে এই ভিনিগারটি খাওয়া মাত্র renin নামক হরমোনের ক্ষরণ নিয়ম মেনে হতে থাকে, যে কারণে blood vessel এতটাই প্রসারিত হয় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে HDL বা উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যে কারণে অল্প সময়েই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে থাকে।
৩| হজম শক্তির উন্নতি ঘটে
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে malic acid নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট খারাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। শুধু তাই নয়, এই ভিনিগারটিতে আরও এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে পেটের সমস্যা এবং বদহজমের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে সময় থাকে সহজে।
৪| রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের কবলে পড়ার আশঙ্কা কমে যায়। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যে হারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে আট থেকে আশি সবারই যে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে যাঁরা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান, তাঁরা একবার এই নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন অবশ্যই।
৫| মারণ রোগ ক্যান্সারকে দূরে রাখে
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে উপস্থিত acetic acid রক্তে মেশামাত্র ক্যান্সার সেলগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে এমন রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। ভিনিগারে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই উপাদানটি রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের ধ্বংস করে দেয়। ফলে কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
৬| লিভারকে ভালো রাখে

নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করলে লিভারে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়, সেই সঙ্গে lymphatic system-এর ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে দেহের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। এবার বুঝতেই পারছেন, লিভারকে সুস্থ রাখতে হলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপর ভরসা রাখতেই হবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই বিশেষ ধরনের ভিনিগারটি পান করা শুরু করলে নানাবিধ উপকার মেলে ঠিকই। কিন্তু বেশি মাত্রায় যদি খাওয়া শুরু করো, তাহলে কিন্তু বিপদ। কারণে সেক্ষেত্রে দাঁত, ইসোফেগাস এবং স্টমাক লাইনিং-এর মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে পটাশিয়াম লেভেল কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বদহজম এবং হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই কতটা পরিমাণে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করা উচিত, সে সম্পর্কে একবার চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।
Spark.Live-এ রয়েছেন বিশিষ্ট সকল ডায়টেশিয়ানরা
বর্তমানে দেশের নিজস্ব অ্যাপের মধ্যে Spark.Live অন্যতম। একাধিক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদরা যুক্ত হয়েছেন Spark.Live এ, এবং তারা অনলাইন কন্সালটেশনের সুযোগ রাখছেন আপনাদের সক6লের জন্যই। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কেন্দ্রীভূত করে আপনাদের ডায়েটের যেকোনো ধরণের সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে দিচ্ছেন আমাদের ডায়েটিশিয়ানরা দক্ষতার সঙ্গে এবং সব থেকে সুবিধে হল নিজের বাড়িতে বসেই স্বল্প মূল্য ব্যায় করে আপনারা নিজেদের ডায়েট চার্টটি পেয়ে যাবেন।
তাই আর দেরি না করে, আজই নিজের সেশন বুক করুন এই লিংকটিতে ক্লিক করে-https://spark.live/dietician-nutritionist-consultation/